• E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৪ অপরাহ্ন

×

খুলনায় বিএনপি’র সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪
  • ৩৪ পড়েছেন

বিজ্ঞপ্তি :
খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান বলেছেন, কারাগারে জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী হৃদরোগে আক্রান্ত হলেও সুচিকিৎসা দেয়া হয়নি তাকে। এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, খুলনা জেলা কারা কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি না- ভবিষ্যতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের মাটিতেই তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ্। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামের লড়াকু সৈনিক রূপসার শ্রীফতলা ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান জননেতা এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী এখনো শঙ্কামুক্ত নন। মহান আল্লাহ্তায়ালার রহমতে দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থক খুলনা তথা দেশবাসীর কাছে তাঁর আশু সুস্থতায় দোয়া প্রার্থনা করছি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরীর কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর দেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা আমীর এজাজ খান বলেন, হাইকোর্টের আগাম জামিন শেষ হলে গত ২৪ এপ্রিল খুলনা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রয়োজনীয় মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ আদালত চিকিৎসা নামের মৌলিক অধিকার ও মানবিক বিষয় বিবেচনা না করেই বিএনপি নেতা এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পীর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। গত ৩ মে খুলনা জেলা কারাগারে জননেতা মনিরুল হাসান বাপ্পী অসুস্থ হয়ে পড়লে অনেক প্রচেষ্টার মাধ্যমে জেল চিকিৎসকের দ্বারা ইসিজি করানো হয়। পরে চিকিৎসক কারাবন্দী মনিরুল হাসান বাপ্পীকে জানান তাঁর ‘হার্ট এ্যাটাক’ হয়েছে। এরপর খুলনা জেলখানা কতৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় অনুরোধ করেছি বিএনপি নেতা এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পীকে বাহিরে নিয়ে মেডিকেলে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসার ব্যয়ভার আমরাই বহন করবো। কিন্তু আমাদের কোনো কথাই কর্ণপাত করলেন না; বরং খুলনা কারা কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার চিকিৎসা না করিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যান। তিনি আরও বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৬ মে সন্ধ্যায় চরম অসুস্থ অবস্থায় জামিনে মুক্তিলাভ করেন জননেতা মনিরুল হাসান বাপ্পী। পরদিন ৭ মে সকালে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চেকআপ করালে, পরিস্থিতি বিপদজনক দেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে সাথে সাথেই ভর্তি করিয়ে সিসিইউ’তে রেখে চিকিৎসা শুরু করেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, গত ৩ মে (কারান্তরীণ অবস্থায়) তিনি ‘হার্ট অ্যাটাক’ করেছিলেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখেই তার চিকিৎসা করানো হয়; পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৩ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে এনজিওগ্রাম করলে তাঁর হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। কারাভ্যন্তরে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সাথে সাথে সুচিকিৎসা না পাওয়ায় মনিরুল হাসান বাপ্পীর অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান, সংগ্রামী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক আলহাজ¦ রকিবুল ইসলাম বকুল ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানেন। পুলিশের দায়েরকৃত গায়েবী অভিযোগে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামুলক প্রহসনের মামলায় বিএনপি’র নেতাকর্মী-সমর্থকদের কিভাবে পুলিশী নির্যাতন ও জেলহাজতে প্রেরণ করছে আওয়ামী আজ্ঞাবহ আদালত। বিবোধী দল-মত দমন-নিপীড়নে ফ্যাসিষ্ট আ’লীগ দলীয় স্বার্থে আদালতকে ব্যবহারের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপের বিশ্ব রেকর্ড করেছে। আইনের শাসন লঙ্ঘন করে নির্বিকারে বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে নিক্ষেপ করে নিশিরাতের ভোটডাকাত সরকার সর্বশেষ ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদে চিরস্থায়ী থাকতে চাইছে। অবৈধ শেখ হাসিনা সরকার সীমাহীন লুটপাটে বাংলাদেশ আজ দেওলিয়াত্ব অবস্থা। জনগনের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা হরণ করে পাশ্ববর্তী দেশের প্রেসক্রিপশনে দেশ পরিচালনা ব্যর্থ ফ্যাসিষ্ট সরকারের হাতে দেশের সার্বিক সার্বভৌমত্ব হারাতে বসেছে। জনগনের সামনে তথ্যভিত্তিক এসব চিত্র তুলে ধরায় বিএনপি’র প্রথম সারির নেতাদের পুলিশের দায়েরকৃত গায়েবী মামলায় শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ আদালতে প্রহসনের রায়ে নির্বিকারে সাজা ঘোষণা করে বাংলাদেশে এক ঘৃণ্য বর্বরোচিত ইতিহাস রচনা করেছে আ’লীগ। এসবে শেখ হাসিনা সরকারের শেষ রক্ষা হবে না ইনশাআল্লাহ্। সর্বকালের ঘৃণ্য বর্বরোচিত ইতিহাসে শেখ হাসিনার নাম চিরদিন স্মরণ রাখবে বাংলাদেশ। জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু’র সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-আহবায়ক খান জুলফিকার আলী জুলু, এসএ রহমান বাবুল, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, এসএম শামীম কবির ও এনামুল হক সজল, চৌধুরী কওসার আলী, ডাঃ আব্দুল মজিদ, ইলিয়াস হোসেন মল্লিক, মোঃ হাফিজুর রহমান, জিএম রফিকুল ইসলাম, এসএম মুর্শিদুর রহমান লিটন, খন্দকার ফারুক হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, রুম্মন আজম, সরদার আব্দুল মালেক, শাহাদাত হোসেন ডাবলু, দিদারুল হোসেন, শামসুল বারিক পান্না, মোল্লা সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান খান, মোজাফফার হোসেন, বিকাশ মিত্র, নাদিমুজ্জামান জনি, উজ্জ্বল কুমার সাহা, খান ইসমাইল হোসেন, আজাদ আমীন, শেখ হেমায়েত হোসেন, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী ও জিএম শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA